দুই বছর আগে ক্যাম্প ন্যুর সংস্কার কাজে হাত দিয়েছিলো বার্সেলোনা, নির্মাণ কাজ শেষ হতে লাগবে আরও এক বছর। যদিও কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে তারা।
বার্সেলোনা শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। স্টেডিয়ামের ঘাস লাগানো হয়ে গেছে, সিটও বসানো হচ্ছে। বাকি বলতে শুধু স্টেডিয়ামের ছাদের কাজ। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে আগামী বছরের গ্রীষ্ম পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপরই পুরোদমে এখানে বার্সার যাবতীয় কাজ শুরু হবে।
নির্মাণকাজ আগামী বছর শেষ হলেও বার্সেলোনা স্পটিফাই ক্যাম্প ন্যুয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে পারবে বলে আশাবাদী। সেক্ষেত্রে দর্শক প্রবেশাধিকার থাকবে সীমিত।
সংস্কার কাজ চলতে থাকায় বার্সেলোনা নিজেদের হোম ম্যাচগুলো খেলছে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে খেলবে। এই স্টেডিয়ামটিও প্রায় শতবর্ষ পুরনো। বার্সেলোনার নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওল ১৯৯৭ থেকে ১২ বছর এই ভেন্যুতে খেলেছে। এর ধারণক্ষমতা প্রায় ৫৬ হাজার।
সংস্কার কাজে হাত লাগানোর আগে ক্যাম্প ন্যুর দর্শক ধারণক্ষমতা ছিলো ৯৯ হাজার ৩০০। স্পটিফাই ক্যাম্প ন্যু নামে স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার। এর জন্য কাতালান ক্লাবটির খরচ হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। ঋণে জর্জরিত বার্সা এই অর্থ বেশ কয়েকটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছে, নামস্বত্ব বিক্রি করেছে সুইডিশ অডিও স্ট্রিমিং ও মিডিয়া সার্ভিস প্রোভাইডার স্পটিফাইয়ের কাছে, যে জন্য ক্যাম্প ন্যুর আগে বসাতে হচ্ছে স্পটিফাই শব্দটি।
স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হলে আয় থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ পরিশোধ করা হবে। বিভিন্নভাবে ধাপে ধাপে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেবে ক্লাবটি। যেখানে পাচঁ, সাত, নয় ও ২০ বছরের জন্য কয়েকটি পরিকল্পনা করেছে তারা। এর আগে ২০২১ সালে বার্সেলোনার ক্লাব সদস্যদের ভোটে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ধরা হয়েছিল ৩৫ বছর। পরে তা কমিয়ে ২৯ বছরে আনা হয়।